বিধি ও নিয়মাবলী

শিক্ষার্থীদের অবশ্যই করণীয়

প্রত্যেকদিন ডায়েরী আনা বাধ্যতামূলক -

১। লেখাপড়াসহ সকল কাজের প্রারম্ভে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করবে।
২। মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করবে। গুরুতর অপরাধ করলেও মিথ্যা বলবে না।
৩। সৎ চিন্তা করবে, পাপ হতে দূরে থাকবে, সকল বিষয়ে লোভ সংবরণ করবে এবং সংযমী হবে।
৪। প্রতিষ্ঠানের সমাবেশে যোগদান (School Assembly) আবশ্যিক।
৫।  সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ১০টার মধ্যে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ১০টার পর কোন শিক্ষার্থীকে কোনক্রমেই প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
৬। প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত পথে প্রত্যেক ছাত্রীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
৭। প্রত্যেক পিরিয়ড শেষে এবং প্রয়োজনীয় শ্রেণি পরিবর্তনের সময় সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করবে। শিক্ষকের অনুপস্থিত সময়টুকুতে শ্রেণি মনিটরের কথা মানতে হবে।
৮। অবাধ্যতা, অনিয়মিত উপস্থিতি, অভ্যাসগত অলসতা, অবাঞ্চিত নৈতিক প্রভাব ও উচ্ছৃংখল আচরণের জন্য ছাত্রীদের বহিষ্কার করা যেতে পারে।
৯। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রোল, খাতা এবং পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ডিমাই সাইজ সাদা খাতা ব্যবহার করতে হবে।
১০। প্রত্যেকের সাথে সৎভাব বজায় রেখে চলবে, অগ্রজদের সম্মান করবে এবং অনুজদের স্নেহ করবে। সকলকে ভাল কাজে উৎসাহিত করবে এবং খারাপ কাজে  বাধা দেবে।
১১। প্রতিদিনের পাঠ শিখে প্রতিষ্ঠানে আসবে এবং কোন ক্রমেই বাড়ির কাজ শ্রেণিতে এসে করা যাবে না।
১২। ছুটির পর হৈ-হল্লা না করে ধীরে ও শান্তভাবে প্রতিষ্ঠান অঙ্গন ত্যাগ করবে।
১৩। প্রত্যেক পিরিয়ডের পড়া ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য খাতা-কলম ও বই নিয়ে আসবে।
১৪। প্রতিষ্ঠান অঙ্গন ও নিজেদের শ্রেণিকক্ষ নিজেরাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে।
১৫। পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় কালি-কলম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরঞ্জামাদি সঙ্গে আনবে। পরীক্ষা কক্ষে কোন অবস্থাতেই অন্যের কাছে কোন কিছু চাওয়া যাবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করলে পরীক্ষা বাতিল হবে। পরীক্ষার সময় যথাযথ ইউনিফর্ম পরে আসবে।
১৬। প্রতিটি বিষয়ে/পএে প্রত্যেক সাময়িক/বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে একটি শ্রেণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত তারিখে অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তীতে কোন অবস্থাতেই পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না।
১৭। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত পূর্ণ ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড ব্যতীত শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।
১৮। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থী টানা ১০দিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
১৯। শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। শিক্ষা উপকরণ সরঞ্জামাদি ব্যতীত মোবাইল, ক্যামেরা, সিডি ইত্যাদি পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং সেই সাথে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
২০। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শিক্ষকদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

 

সম্মানিত অভিভাবকদের করণীয়

অভিভাবকের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্ভব্য-

 

(মাতা-পিতা এবং অভিভাবকদের নিম্নবর্ণিত ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিক সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।)

১। ছাত্রীবৃন্দ যেন প্রত্যহ্ সময়মত (সকাল ১০.১০ মিঃ) বিদ্যালয় সমাবেশে উপস্থিত হয়- এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।
২। ছাত্রীর ডায়েরী পরিচিতি পাতায় অভিভাবকের নাম, পেশা, ঠিকানা ও নমুনা স্বাক্ষর থাকবে। উক্ত ডায়েরী ছাত্রীর যাবতীয় বিষয়ে অবহিত হওয়ার মাধ্যম হিসেবে অভিভাবক প্রতিদিনের পাঠোন্নতি, নিয়মিত উপস্থিত সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। তাছাড়া সাময়িক পরীক্ষার পর ডায়েরী নিরীক্ষিত় হলে এটি অভিভাবক দেখবেন এবং স্বাক্ষর করবেন।
৩। বাড়ির কাজ ও অনুশীলনীগুলো ছাত্রী ডায়েরীতে যথারীতি লিখছে কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ নিবেন।
৪। সপ্তাহে অন্ততঃ একবার পাঠোন্নতি, আচার-আচরণ উপস্থিতি এবং শ্রেণিতে প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নম্বর ও মন্তব্য (যদি থাকে) দেখে মেয়ের সামগ্রিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
৫। প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম , পাঠ্যপুস্তক, শ্রেণি ও বাড়ির কাজের খাতা যাতে পরিপাটি এবং পরিচ্ছন্ন হয়, সে ব্যাপারে ছাত্রীকে উৎসাহ প্রদান করবেন।
৬। স্কুল ও কলেজের সাথে সর্বপ্রকার যোগাযোগের সময় ছাত্রী সম্পূর্ণ নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল নং এবং আইডি নাম্বার দিতে হবে।
৭। প্রত্যেক ছাত্রীর উপস্থিতি কার্যদিবসের ৮০% এর কম হলে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হবার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। একই শ্রেণিতে  দুই বৎসর অনুত্তীর্ণ ছাত্রীর জন্য কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না এবং উক্ত ছাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হবে।
৮। ছাএীর ডায়েরী হারালে অভিভাবক কর্তৃক ডায়েরী হারানোর যুক্তিসঙ্গত কারণ সম্বলিত আবেদনপত্রসহ ১০০.০০ টাকা জমা দিয়ে আরেকটি ডায়েরী সংগ্রহ করতে হবে। অর্ধবার্ষিক/ প্রাক-নির্বাচনী ও বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা আরম্ভ হবার পূর্বে ডায়েরী শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা না দিলে ফলাফল স্থগিত থাকবে।
৯। মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বেতনসহ যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে হবে। কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে পরবর্তী খোলার তারিখে বেতনসহ যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে হবে। পর পর তিন মাস বেতনসহ যাবতীয় ফি অপরিশোধিত থাকলে পুনঃভর্তি ফিসহ অবশ্যই বেতন ও যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে হবে।
১০। স্কুল ও কলেজ চলাকালীন কোন অভিভাবক স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা নিষেধ।
১১। ছাত্রীর যেকোন অনুপস্থিতির জন্য অভিভাবকের চিঠি ছাড়া শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
১২। বিনা কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে প্রতিদিন অনুপস্থিতির জন্য নির্ধারিত হারে জরিমানা দিতে হবে।
১৩। অসুস্থতার কারণে ৩ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে দরখাস্তের সাথে ডাক্তারের সার্টিফিকেট দিতে হবে। পূর্ব অবগতি বা অনুমতি ছাড়া কোন ছাত্রী তিন মাস অনুপস্থিত থাকলে তার ভর্তি বাতিল হবে।
১৪। প্রতিষ্ঠানে আসার পর বিশেষ অসুস্থতা ছাড়া কোন কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে অভিভাবকের স্বহস্তে দরখাস্ত দিতে হবে।
১৫। ছাড়পত্র(T.C) নেবার সমযে় অধ্যক্ষের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং ছাড়পত্রের ফি (এক মাসের বেতনের সমান) সহ যে মাসে ছাড়পত্র (T.C) নেয়া হবে, সেই মাস পর্যন্ত সকল দেয় টাকা পরিশোধ করতে হবে।
১৬। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ ক্লাসে অংশগ্রহণ করা এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের নির্দেশমতো পড়াশুনা করে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসা নিশ্চিত করতে হবে।

 

অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎকারঃ


দিনঃ রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার
সকালঃ বেলা ১২টা থেকে ১.৩০মিঃ পর্যন্ত।